অস্তিত্ববাদ (Existentialism) হল এমন একটি দর্শন, যা মানুষের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা এবং পৃথিবীতে তার অর্থ নিয়ে গভীর দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করে। এই দর্শনের মূল কেন্দ্রে থাকে মানব অস্তিত্বের একাকিত্ব এবং তার স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। অস্তিত্ববাদই একমাত্র মতবাদ যা মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কীয় অতিবাস্তব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। অস্তিত্ববাদীদের মতে দর্শন অবাস্তব, বিমূর্ত বা কাল্পনিক কোনো কিছুর সম্বন্ধে চিন্তন নয়, দর্শন হল জীবনের পথ, বাঁচার পথ। অস্তিত্ববাদ ব্যক্তি মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠা করার এক বলিষ্ঠ দার্শনিক প্রচেষ্টা।
ফরাসি দার্শনিক জঁ-পল সার্ত্রের ‘বিয়িং অ্যান্ড নাথিংনেস’ (Being and Nothingness) এই দর্শনের একটি অন্যতম মৌলিক ও প্রভাবশালী কাজ, যেখানে তিনি মানব অস্তিত্বের একটি গভীর বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর তত্ত্ব অনুযায়ী, মানব অস্তিত্বের মূল বিষয় হল স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত দায়িত্ব এবং অর্থহীনতার উপলব্ধি।
সার্ত্রের মতে, মানুষ কোনো প্রাক-নির্ধারিত প্রকৃতির অংশ নয়, বরং সে নিজের অস্তিত্বর মানে নিজেই সৃষ্টি করে। তার দৃষ্টিকোণ থেকে, অস্তিত্বের পূর্বে কোনো ‘প্রকৃতি’ বা ‘সামাজিক আদর্শ’ নেই, বরং মানুষ প্রথমে অস্তিত্ব লাভ করে এবং পরে তার জীবন ও কাজের মাধ্যমে নিজের প্রকৃতি তৈরি করে।
সার্ত্রের মানব অস্তিত্বের ব্যাখ্যা
ক. অস্তিত্ব পূর্ব শর্ত নয়: সার্ত্র বলেছিলেন, ‘অস্তিত্ব আগে, সত্ত্বা পরে’ (existence precedes essence)। এর মানে হল যে, মানুষের অস্তিত্বের কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা প্রকৃতি আগে থেকে নেই। মানুষ প্রথমে অস্তিত্ব লাভ করে এবং তার পরবর্তী জীবন ও কাজের মাধ্যমে নিজের প্রকৃতি তৈরি করে।
খ. স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতা: সার্ত্রের মতে, মানুষের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা হল তার নিজের জীবন পরিচালনার স্বাধীনতা। তবে এই স্বাধীনতা তাকে দায়বদ্ধতা ও নিষ্ঠুরতার সাথে মোকাবেলা করায়। কোনো কিছু করার পরিণতি একান্তভাবে তার নিজের উপর নির্ভর করে এবং এই স্বাধীনতা থেকেই তিনি নিজের অস্তিত্বের মানে তৈরি করেন।
গ. অর্থহীনতা ও ‘নিষ্ঠুর শূন্যতা’ : সার্ত্র বলেছেন, ‘জীবন কোনো প্রাকৃতিক উদ্দেশ্য বা অর্থ নিয়ে আসে না’। মানবজীবনের প্রকৃতি হল একটি শূন্যতা, যেখানে মানুষের কাজ এবং সিদ্ধান্ত তাকে নিজেই অর্থ দেয়। জীবন তার নিজস্ব অর্থ সৃষ্টি করার জন্য একটি নিরন্তর সংগ্রাম।
ঘ. ‘মিথ্যা বিশ্বাস’ বা ‘bad faith’ : মানুষের মধ্যে এক ধরনের মিথ্যা বিশ্বাস বা আত্মপ্রতারণা থাকে, যেখানে তারা নিজের স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতাকে অস্বীকার করে। সার্ত্র এটিকে ‘bad faith’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি যদি তার সমাজের নির্ধারিত নিয়মের উপর ভিত্তি করে জীবন যাপন করে, নিজের স্বাধীনতা অস্বীকার করে, তবে তাকে ‘bad faith’-এর মধ্যে যাপন করা বলা হয়।
যেমন ধরা যাক, এক ব্যক্তি একটি অফিসে কাজ করে। সার্ত্রের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, সেই ব্যক্তি যদি তার কাজের প্রতি কোনো প্রকৃত আগ্রহ বা বিশ্বাস না রেখে শুধুমাত্র বেতন বা নিরাপত্তার জন্য কাজ করে, তাহলে সে ‘bad faith’-এ আচ্ছন্ন। সে তার নিজের স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা অস্বীকার করে একটি ‘রোবট’ হয়ে ওঠে, যা তার অস্তিত্বের প্রকৃত লক্ষ্যকে অতিক্রম করে।
অন্যদিকে, যদি সেই ব্যক্তি তার কাজকে নিজস্ব চিন্তা, উদ্দেশ্য এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণ করে এবং নিজের জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করে, তাহলে সে তার অস্তিত্বকে পূর্ণতা দিচ্ছে এবং সার্ত্রের তত্ত্ব অনুসারে সে একটি বাস্তব, স্বাধীন জীবনযাপন করছে।
এভাবে, সার্ত্রের মতে, মানুষ একটি ‘স্বাধীন সৃষ্টি’ হিসেবে তার জীবন পরিচালনা করে এবং তার অস্তিত্বের অর্থ সৃষ্টি করার ক্ষমতা তার নিজের হাতে থাকে।
২
অস্তিত্ববাদ একটি দার্শনিক অবস্থান, যেখানে মানুষের অস্তিত্ব প্রথমে আসে—এটাই মূল শর্ত এবং তারপর তাকে (মানুষ) নিজেই তার অর্থ খুঁজে নিতে হয়। অর্থাৎ, অস্তিত্ববাদী দর্শনে, মানুষ জন্মের পর তার অস্তিত্ব স্বতন্ত্রভাবে তৈরি করে এবং তারপরই সে তার জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করে। সার্ত্রের ভাষায়, ‘অস্তিত্ব পূর্বে আসে এবং তাৎপর্য পরে’ (Existence precedes essence)। এর মানে হল, মানুষের জীবন শুরু হয় শুধুমাত্র তার অস্তিত্ব দিয়ে, আর তার পরেই সে নিজের অস্তিত্বের উদ্দেশ্য এবং তাৎপর্য গঠন করে।
‘বিয়িং অ্যান্ড নাথিংনেস’ গ্রন্থে অস্তিত্ববাদীচেতনার স্বরুপ
জঁ-পল সার্ত্রের ‘বিয়িং অ্যান্ড নাথিংনেস’ একটি একেবারেই মৌলিক কাজ, যেখানে তিনি মানুষের অস্তিত্বের গঠন, তার স্বাধীনতা এবং নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বইয়ে সার্ত্র মানুষের অস্তিত্বকে দুটি মৌলিক অবস্থানে ভাগ করেছেন : বিয়িং (Being) এবং নাথিংনেস (Nothingness)।
বিয়িং: অস্তিত্বের ধ্রুবকতা
সার্ত্রের মতে, বিয়িং হল এমন একটি অবস্থা, যেখানে মানুষের অস্তিত্ব তাকে একটি নির্দিষ্ট বাস্তবতা প্রদান করে। তবে, এটি একেবারেই স্থিতিশীল নয়। মানুষের অস্তিত্ব কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা রূপ ধারণ করতে পারে না বরং এটি ক্রমাগত পরিবর্তিত ও বিকশিত হতে থাকে। এখানে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা এবং স্বাধীনতা চিহ্নিত হয়। এটি একটি ধারাবাহিক চলমান অবস্থা, যা সমাজ এবং অন্যান্য বাহ্যিক প্রভাব দ্বারা পরিণত হয়।
নাথিংনেস : শূন্যতা ও স্বাধীনতা
নাথিংনেস, সার্ত্রের মতে, মানুষের অস্তিত্বের সেই শূন্যতা, যা তার মুক্তি এবং স্বাধীনতার জন্ম দেয়। মানুষ শূন্যতার মধ্যে নিজেকে দেখতে পায় এবং এই শূন্যতার মধ্যে তাকে নিজের অস্তিত্বের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নাথিংনেস হল সেই শূন্যতা, যা থেকে মানুষ স্বাধীনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পায়, তবে এটি সঙ্গতিপূর্ণ হতাশা ও উদ্বেগেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, যখন মানুষ তার অস্তিত্বের শূন্যতার দিকে তাকায়, তখন সে নিজের অস্তিত্বের কোনো মূল বা চূড়ান্ত উদ্দেশ্য খুঁজে পায় না।
স্বাধীনতা ও উদ্বেগ
সার্ত্রের অস্তিত্ববাদী দর্শনে, স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। মানুষের স্বাধীনতা সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হয়, যখন সে উপলব্ধি করে যে তার জীবন, তার অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত এবং তার কর্মগুলো সে নিজে সৃষ্টি করতে পারে। তবে, এই স্বাধীনতা এক ধরনের উদ্বেগ (Angst) এবং দ্বন্দ্বও সৃষ্টি করে, কারণ মানুষ জানে না তার সিদ্ধান্তের ফলাফল কী হবে। সার্ত্র বলেন, ‘মানুষ মুক্ত, কিন্তু তার মুক্তির মূল্য হল উদ্বেগ এবং একাকিত্ব।’
এই উদ্বেগ, তবে, মানুষের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এটি তাকে নিজের অস্তিত্বের প্রতি দায়িত্বশীল করে তোলে। মানুষ যখন বুঝতে পারে যে সে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়াই জীবিত, তখন সে নিজের অস্তিত্বের সব দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং তার জীবনকে নিজের মতো করে সাজানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়।
নৈতিকতা ও মানবিক দায়িত্ব
সার্ত্রের মতে, অস্তিত্ববাদ শুধু একটি দার্শনিক অবস্থান নয়, বরং এটি একটি নৈতিক দর্শনও। যখন একজন মানুষ নিজের অস্তিত্বের বিষয়ে সচেতন হয় এবং তার সিদ্ধান্তের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে, তখন তাকে নিজের কার্যকলাপের জন্য পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। অস্তিত্ববাদী নৈতিকতা হল, কোনো দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা সীমাবদ্ধ না হয়ে, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও মূল্যবোধ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এর মাধ্যমে সার্ত্র প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার স্বাধীনতা ও দায়িত্বের উপলব্ধি দিয়ে, তাকে পৃথিবীতে তার অবদান রাখার আহ্বান জানান।
জ্যঁ-পল সার্ত্রের বিয়িং অ্যান্ড নাথিংনেস (Being and Nothingness) গ্রন্থে মৃত্যু এবং স্বাধীনতা সম্পর্কে তাঁর দার্শনিক ধারণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে তিনি মৃত্যুকে এবং স্বাধীনতাকে অস্তিত্ববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন।
সার্ত্রের মতে, মৃত্যু একটি বাস্তবতা যা মানুষের অস্তিত্বের সাথে একাত্ম। তিনি মৃত্যুকে ‘এতিহাসিক অবস্থা’ হিসেবে দেখেন, যা মানুষের অস্তিত্বের শেষ সীমানা। তবে, মৃত্যুর ধারণা মানুষের অস্তিত্বের মধ্যে একধরনের অনিশ্চয়তা এবং মুক্তির সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। মানুষ মৃত্যুকে জানে, কিন্তু তা কবে ঘটবে, সেটা জানে না। এই অনিশ্চয়তা মানুষের জীবনের সংকটকে আরও তীব্র করে তোলে। সার্ত্রের মতে, মৃত্যুর ধারণা মানুষের জন্য একধরনের ‘অস্তিত্বের হুমকি’ হিসেবে কাজ করে, তবে সেই হুমকি মোকাবিলা করার মধ্য দিয়ে মানুষ নিজের অস্তিত্বকে আরো দৃঢ়ভাবে অনুভব করতে পারে।
সার্ত্রের দার্শনিক মতবাদ অনুযায়ী, মানুষ স্বাধীন, কারণ সে নিজের অস্তিত্বের জন্য দায়ী। মানুষ নিজেকে কীভাবে গঠন করবে, কীভাবে জীবনযাপন করবে, তা তার নিজের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। মৃত্যুর চিন্তা এবং জীবনযাপনের সংকটের মধ্য দিয়ে মানুষ তার স্বাধীনতার সঠিক অর্থ খুঁজে পায়। সার্ত্রের মতে, স্বাধীনতা শুধুমাত্র পরিস্থিতি বা পরিবেশের প্রতি প্রতিক্রিয়া নয়, বরং এটি মানুষের নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। অর্থাৎ, মানব স্বাধীনতা মানে নিজের অস্তিত্ব এবং ভবিষ্যতকে গঠন করার অধিকার।
সার্ত্রের দৃষ্টিতে, মৃত্যু মানুষের অস্তিত্বের চূড়ান্ত সমাপ্তি, কিন্তু এটি তার স্বাধীনতার ধারণা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। স্বাধীনতা এবং মৃত্যু একে অপরকে প্রভাবিত করে এবং মানুষের জীবন একটি চিরন্তন সংকটে কাটে, যেখানে সে তার স্বাধীনতা এবং অস্তিত্বের অস্থিরতা অনুভব করে।
৩.
জঁ-পল সার্ত্রের ‘বিয়িং অ্যান্ড নাথিংনেস’ এর মাধ্যমে ‘অস্তিত্ববাদ’ একটি গভীর ও ব্যাপক দর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে মানব অস্তিত্বের মূল বৈশিষ্ট্য হল স্বাধীনতা, শূন্যতা, এবং এই শূন্যতার মধ্যে নিজের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য খোঁজা। সার্ত্রের মতে, মানুষ তার জীবনের মানে খুঁজে পায় না বাহ্যিক কোনো ধর্ম বা নীতিমালার মধ্যে, বরং সে তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত এবং অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতার মাধ্যমে সেই মানে তৈরি করে। এর ফলে, অস্তিত্ববাদ আমাদের শেখায় যে, মানুষের জীবনে শুধুমাত্র শূন্যতা নয়, স্বাধীনতারও বড় ভূমিকা রয়েছে, এবং এই স্বাধীনতার মধ্যে নিহিত রয়েছে তার পূর্ণতা।

মাসুদুল হক। কবি, কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও অনুবাদক। আন্তর্জাতিক ব্লগ ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত ইংরেজি কবিতা লেখার পাশাপাশি অনুবাদ করে চলেছেন। আদিবাসী জীবন ও লোকসংস্কৃতি তার আগ্রহ ও গবেষণার অন্যতম বিষয়। সরকারি কলেজে দর্শনের অধ্যাপক। বর্তমানে অধ্যক্ষ, বীরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ, দিনাজপুর।
প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশ। তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ ‘তামাকবাড়ি’, গবেষণাগ্রন্থ ‘বাংলাদেশের কবিতার নন্দনতত্ত্ব’। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা THE POET কর্তৃক ‘International poet of week’ ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক কবিতায় অবদানের জন্য পর্তুগাল থেকে স্বীকৃতি স্বরূপ অর্জন করেছেন গোল্ডেন শিল্ড সম্মাননা (২০২১); এছাড়াও গদ্যসাহিত্যে বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কার (২০১১); কথাসাহিত্যে চিহ্ন পুরস্কার (২০১৩), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; লোকসাহিত্যে দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৪) অর্জন করেছেন। অনুবাদের জন্য চর্যাপদ পুরস্কারে (২০২৩) ভূষিত হয়েছেন। প্রবন্ধ-গবেষণায় পেয়েছেন রংপুর সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ পদক (২০২৪) এবং মহীয়সী সম্মাননা (২০২৫)।