উল্টো রথে

সত্যিই একদিন আমার টাইম মেশিন উড়ে গেল বাতাসে
নবগুলো এলোমেলো ছড়িয়ে পড়ল- দূর গ্রহে
আমি দৌড়তে থাকলাম- ঠিক যেভাবে সন্ধ্যা নামার আগে
শিশুরা খেলার মাঠ থেকে মায়ের কাছে ফিরে আসে
প্রথমে শাদা চুলগুলো কালো হয়ে গেলে
যে-সব শুক্রকণা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল বিভিন্ন পাত্রে
তারাও ছত্রখান হয়ে ভেঙে গেল-
মায়ের জরায়ু যদিও আমার প্রথম পছন্দ, তবু
পিতারাও বুঝে নিল তার অর্ধেক অংশ
একটি কোষ, অথচ বিভক্ত ছিল দুইটি ভাণ্ডে
এখন ভাগাভাগি হয়ে ছুটছে কিঞ্চিৎ আনন্দে
অকস্মাৎ হারিয়ে গেল শব্দের মানে- কে কার জন্মদাতা
বুঝলাম, আমিই তো পিতাদের জন্ম দিয়েছি
আমিই তো বানিয়েছি মাতামহীর অপুষ্ট জননেন্দ্রীয়
প্রথম পেলাম টের, আমরা বস্তু নই- আলোর কণিকা
এতদিন জেনেছি- জগতে সম্ভব নয় আলোর অধিক গতি
আথচ আলোরাও অসীম অন্ধকারের অবাধ্য সন্তান
তারাও কারো গর্ভ থেকে বাইরে এসেছিল
তারাও ফিরে যেতে চায়- এই উল্টো রথের চাকায়
সময় ও শূণ্যতা সংকৃচিত হয়ে- অভিন্ন সত্তায়
আলো ও শব্দের কম্পনাঙ্কে মিশে যেতে থাকে-
এক অভূতপূর্ব নৃত্যের ছন্দে-
এক সূর্য থেকে আরেক সূর্যে
আপাত দৃষ্টিতে যদিও মনে হবে
ফানেলের ভেতর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে তরল
তবু সবারই আলাদা অস্তিত্ব রয়েছে-
সবাই এ মহাবিশ্বে একাকী ঈশ্বরের সঙ্গী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *