বাউল সয়াল শাহ ও তাঁর গান

শাহ আবদুল করিমের জীবদ্দশায় তাঁর শিষ্যরা কিংবা আশেপাশে যারা থাকতেন তাদের সকলকেই করিমের গান গাইতে দেখা যেত, নিজেরা গান লিখে থাকলেও কেউই তা সচরাসচর প্রকাশ করতেন না। এ-কারণে করিম-শিষ্য সয়াল শাহ যে গান লেখেন, তা জানতে পারি তাঁর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার বহু বছর পর। তাঁর বইয়ের পাণ্ডুলিপি যখন হাতে এল, বুঝলাম তাঁর অধিকাংশ গান পূর্বসূরি বাউল-ফকিরদের গানের ধারা মেনে রচিত, বিষয়-অনুষঙ্গও তাই, কিন্তু এরপরও লক্ষ করি, কিছু কিছু গানে তাঁর নিজের স্বর স্পষ্ট :

বন্ধু সয়ালের দয়াল
আমারে বানাও তোমার
প্রেমেরই কাঙাল॥

গানের শেষ স্তবক :

বন্ধু রে, দীনবন্ধু নামটি শুনে
পাতকীর ভরসা মনে
ভবপারে তুমি যে দয়াল ও বন্ধু রে।
সয়াল শাহ পাগলমতি, চরণছায়ায় রাখো যদি
সুখ্যাতি রবে চিরকাল॥

এরকম বিষয় আরও অনেক বাউলের গানে ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু ‘সয়াল’ যেহেতু তাঁর নিজেরও নাম, তাই ‘বন্ধু সয়ালের দয়াল’ বলার কারণে এখানে প্রেমার্থীরূপে নিজের উপস্থিতি আরও নিবিড়। শেষ স্তবকে এসে বলছেন, পাতকী ও পাগলমতি সয়াল শাহকে চরণছায়ায় আশ্রয় দিলে দয়াল বন্ধুর সুখ্যাতি চিরকাল রয়ে যাবে। সাধারণত বাউলগানে অভিযোগ, অনুযোগ, কখনো কখনো অভিমানের কথাও থাকে, কোথাও-বা গুণবাচক নামের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আরাধ্যকে আকৃষ্ট করার প্রবণতাও থাকে, কিন্তু এখানে চিরকালের জন্য ‘সুখ্যাতি’-রয়ে-যাওয়ার কথা বলে প্ররোচিত বা অনুপ্রাণিত করার ব্যাপারটি আমাদের কাছে নতুন। এমন নতুনত্ব রয়েছে বইয়ের অন্য একটি গানেও যেখানে তিনি চাচাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর ভাই-ভাবির বিবাহপরবর্তী আচরণ, বিশেষত মা ও বড়ো বোনের প্রতি ভাবির ঝগড়াঝাঁটির বিবরণ দিয়ে বলছেন :

জাত বাছিয়া আনছিলানু
মানী মাইনষর মাইয়া
ভালা বুরা কুনতা কইলে
উঠইন ঝরঝরাইয়া।
বুবাইর লগে ঝগড়া কইরা
মাইরে হুনি ডাকইন তাই॥

আমার ইতা ও চাচাজি
ভালো তো লাগে না।
মান ইজ্জত বাঁচানোর পথ
চোখে তো দেখি না
সয়াল শাহ দেখে নমুনা
আমার বিয়ার দরকার নাই॥

সাধারণত এরকম গানের শেষে, ভণিতা-পদে, আধ্যাত্মিক মোচড় থাকে এবং বেতমিজ মহিলাদেরকে তমিজ হওয়ার কথাও বলা হয়, বইয়ের পর্ববিন্যাসের সময় বাউলের এ-ধরনের গান ‘মনঃশিক্ষা’ পর্বে রাখা হয়, কিন্তু এটি সেরকম নয়, এ-স্থলে কর্তাকে অনায়াসে নৈরাশ্যবাদী বলেও চিহ্নিত করা যায়। জীবন-বাস্তবতার দর্শক হিসেবে এবং তারই চাপে গানটি হয়ে উঠেছে ত্যক্ত বাউলের নিরাশাকর মনের অভিব্যক্তি। কথাটি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে তখনই, যখন জীবনের অপরাহ্ণে পৌঁছার পর এই পদকর্তাকে জীবনসঙ্গিনী গ্রহণ করতে দেখি। তাঁর এই ত্যক্ত-বিরক্ত ভাবের পরিচয় রয়েছে অন্য গানেও যেখানে লোকপ্রচলিত গালিরূপে সম্বোধন করে পদকর্তা তাঁর করুণ অবস্থার বর্ণনা দেন :

নগর খাউরি লো
মুচকি হাসি দেখাইয়া
কেড়ে নিলে প্রাণ
তোর প্রেমে হইলাম আমি কত অপমান।
মনে লয় ত্যাজিতাম প্রাণ
খেয়ে বিষের বড়ি লো॥

গ্রামে ‘নগর খাউরি’ একটি গালিরূপে পরিচিত, শহরেও একেবারে অপিরিচিত নয়। এখানে গানটি শুনে মনে হয়, অনেকটা নিরুপায় হয়েই যেন বুঝে-শুনে বিষের বড়ি খেয়েছেন। একে অনেকটা আত্মসমর্পণই বলা যায় :

নগর খাউরি লো
মনের দুঃখ রেখে বুকে
পাগল বেশে ঘুরি
নয়নে রূপের নেশা কেমনে পাসরি
সয়াল শাহ কয় বুঝলাম তোমার
এসব ছল চাতুরি লো॥

সয়াল শাহের অন্য আরেকটি গান যেটি পড়লেও মনে হবে বিবাহোত্তর অভিজ্ঞতারই বর্ণনা এবং এও মনে হবে সেটি উপরিউক্ত গানেরই পরবর্তী কোনো গান। শুরুতেই আছে : ‘তাই শুধু কথার নাগরি/ঘুমে গাধা, কামে এরা/ঘুরত চায় বাড়ি বাড়ি’। ‘তাই’ এখানে অব্যয় নয়, স্ত্রীবাচক সর্বনাম, যে কিনা অকর্মা। এছাড়া সে ‘তাল’কে ‘বেল’, ‘আম’কে ‘আপেল;, ‘আমড়া’কে ‘সুপারি’, ‘বেগুন’কে ‘কমলা’ বলে ডাকে, যার প্রতিক্রিয়ায় তাঁর মনোভাব এমন : ‘সয়াল শার ঘটল জঞ্জাল/কেমনে কও চাই ঘর করি’।

নিজের/পরের দেখা বাস্তব অভিজ্ঞতার বাইরেও নানা বিষয়ে গান লিখেছেন সয়াল শাহ- যেমন গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে রাজনীতিবিদদের প্রতারণা, শরিয়ত-মারিফতের দ্বন্দ্ব, ভাষা-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম; এর সঙ্গে যথারীতি দেহতত্ত্ব, বিরহ-বিচ্ছেদ আর পির-মুশিদি গান তো আছেই।

এই সময়ে এসে, মারিফতপন্থিদেরকে বুঝতে না-পারার কারণে অথবা তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে যে-বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, তার পরিচয় রয়েছে সয়াল শাহের একটি গানে। গানের তথ্য মতে, শরিয়তপন্থিদের অভিযোগ হল : মসজিদকে আল্লাহর ঘর বলে স্বীকার না-করা, গান-বাজনার মাধ্যমে জিকির-করা, মাজারকে আল্লাহর বাড়ি মনে করা, মাথায় লম্বা করে চুল রাখা, মুখে দাড়ি না-রাখা, মুর্শিদকে ভক্তি করা এবং শিরিক-বেদাত করা ইত্যাদি। এসবের উল্লেখ করবার পর সয়াল শাহ লেখেন :

তাছাউফের ধর্ম কর্ম
কাঠমোল্লা বোঝে না মর্ম
পির ফকিরের গায় মন্দ
ফতোয়া লেখে কাফির॥

সয়াল শার কথা মানো
কাঠ মোল্লার কথা ছাড়ো।
মুর্শিদকে আল্লাহ মানো
নইলে শয়তান তোমার পির॥

শুধু সয়াল শাহই নন, এমন সাহসী কথা শেখ মদন বাউল থেকে শুরু করে দুর্বিন শাহ, কামাল উদ্দিন, শাহ আবদুল করিমসহ অন্যান্য বাউল-ফকিরও বলেছেন। এরপরও বলতে হবে, তাঁর যেসকল গান আঞ্চলিক লোক-অভিব্যক্তি ধারণ করেছে সেখানে তাঁর নিজস্ব স্বর-পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়। এর কারণ বোধ হয় এই যে, সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অনন্তপুরে ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী সয়াল শাহ বহু দিন ধরে শহরতলীতে বসবাস করলেও তাঁর মনে লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় আচার, লোকজীবন ও লোকসাংস্কৃতিক উপাদানের প্রতি হাহাকার ও ভালোবাসা প্রবল।

নিচে সয়াল শাহের কয়েকটি গান উপস্থাপিত হল :

গান

তুমি যদি ভিন্ন বাসো
আমি না ভুলিব বন্ধুয়া রে
কার মুখ দেখে পোড়া প্রাণ জুড়াব॥

বন্ধু রে, তুমি আমারে ভুলো যদি
বাজিবে কলংকের বাঁশি
গলে রশি দিতে ইচ্ছা হইব।
দেখো না তুমি ভাবিয়া
আমি যদি যাই মরিয়া
নাম ধরিয়া কে তোমায় ডাকিব॥

বন্ধু রে, বছরের বার মাসে
একদিনও আসিলে কাছে
কোলে বসে সব দুঃখ মুছিব।
মন আনন্দে করব খেলা
গাঁথিব ফুলের মালা
গলে দিয়া নগরও বেড়াব॥

বন্ধু রে, হই যদি শত দোষী
কাছে এসে বলো দেখি
মাথা পেতে ক্ষমা চেয়ে নিব।
লুকে কইত ঐ দেখা যায়
সয়াল শার বন্ধুয়া যায়
অমাবস্যার পূর্ণিমা হইব॥

ও মন আছো কার আশায়
হলো না মন পারে যাওয়া, বেলা বয়ে যায়।

মন রে, বরজখে থাকিয়া খাড়া
দমের ঘরে দেও পাহারা,
চোরা ছয়জন লুটিবে তোমায়।
তুমি হইয়া চেতন চোরা ছয় জন করো শাসন
নইলে মন ঠেকবে পারঘাটায়॥

মন রে, মুর্শিদ রূপ করিয়া ধিয়ান
বাও নৌকা হইয়া সাবধান
বাইলে নৌকা যাবে কিনারায়।
না বাইলে যাবে মারা, কাল কুম্ভীর নৌকাতে ভরা
ঠেকবে নৌকা ওই বালুচরায়॥

মন রে, সময় থাকতে করো সন্ধান
সাধের বেলা অবসান
আঁধার হলে যাবে মন কোথায়।
করে দেখো বিবেচনা, কেউ তখন তোমার রবে না
সয়াল শাহ তোর হবে কী উপায়॥

ওরে মনা ভাই
ঘুমে কেন মজাইলে মন॥

এ ভব বাজারে আইলে করিতে বেপার
মহাজনের ধনরত্ন ভরিয়া ভাণ্ডার।

কাম কামিনীর সঙ্গ পাইয়া মজাইলে মন
হেলাতে রং তামেশা কাটাইলে জীবন॥

মাঝি মাল্লায় ঠিক করিয়া সকাল ধরো পাড়ি
আইড়া কোণে সাজ করিয়া আসবে তুফান ভারি।

সা সা শব্দে ঢেউ উঠিবে দেখিবে যখন
কাঁদিলে দরদি তোমার কে হবে তখন॥

দালানকোঠা পাকা বাড়ি করলে জমিদারি
নিশি কাটায় সুখ শয্যায় পেয়ে সুন্দর নারী।

দমের বাঁশি বাজাও বসি হইয়া চেতন।
এক জায়গায় রাখতে পারল না সয়াল শার মন॥

নাতিন ঘুমাইছছনি লো ঘুমে অচেতন
ঘরেতে ঢুকিলে চোর লুটিবে তোর ধন॥

বেপার করতে নিয়া আইলে
মহাজনের ধন।
চোরে ঘর করিলে উজার
করবেনু রোদন॥

ভবে ধনী পরশমণি
হইল যে জন।
জাগিয়া পোহায় রজনী
মাশুকের কারণ॥

সাধুর সঙ্গে প্রেম তরঙ্গে
না মজিল মন।
সয়াল শাহর হইল না সাধন
মুর্শিদের চরণ॥

পাগল মন রে
এদেশে কি থাকব চিরদিন।
দিবে যদি ভবপাড়ি
মুর্শিদ ধরে রাস্তা চিন॥

ঘোরফেরায় গেল জীবন
করলে না পথের আয়োজন।
কেউ হবে না তোমার আপন
কাল সমন আসবে যেদিন॥

মরণ কথা হয় কি স্মরণ
কী করিবে আসলে সমন।
ভাই বন্ধু স্ত্রী-পুত্রগণ
কে হবে তোমার জামিন॥

ঘায় রে হায় কী করিলাম
রিপুবশে বশী হইলাম।
সয়াল শাহ ভাও না বুঝিলাম
কী জবাব হাশরের দিন॥

ও মন আসিয়া ভবের হাটে
রঙ্গ রসে মন মজাইয়া
লাগলে মায়ার ছাটে রে॥

মনের অকূল সাগরের পাড়ি
চেয়ে দেখো মন বেপারী
জীর্ণ তরী ছয় চোরায় ধন লোটে।
কাণ্ডারী বিহনে নৌকা ফিরে ঘাটে ঘাটে রে॥

মন রে, শেষ হইলে ভবের ভ্রমণ
সমন নিয়ে আসবে পিয়ন
হাজিরা দিতে হবে কোর্টে
সেই কোর্টের হুকুমদার
শুনেছি ওয়াহেদুল কাহার
দয়ামায়ার চিহ্ন নাহি জোটে রে॥

মন রে, কাল সমন আসিবে যখন
কেউ তোমার শুনবে না রোদন
ভাইবন্ধুগণ চড়াইবে পালকিতে।
সয়াল কারে দিবে দোষ
দিন কাটাইলে হইয়া বেহুশ
ভক্তি মাশুল ঘটল না ললাটে রে॥

বন্ধু পরদেশি রে
তুমিনু সুজন।
কেমনে ভুলিয়া রইলায়
পাষাণের মতন॥

বন্ধু রে, কাছে এসে ভালোবেসে
হয়েছিলে সাথী,
আসি বলে চলে গেলে
ঘটালে দুর্গতি।
নয়নজলে দিবারাতি
ভিজে মোর বসন॥

বন্ধুরে আসিয়া দেখে যাও একবার
আছি কত সুখে,
কুল গেল কলঙ্কী হইলাম
দাগ লাগাইলাম জাতে।
বুঝি তোর বিচ্ছেদের বিষে
হইবে মরণ॥

বন্ধু রে, কার কাছে কই মনের দুঃখ
কইলে কেউ বোঝে না,
সবাই আমায় পাগল বলে
কেউ ভালোবাসে না।
সয়াল শার তুমি বিনে
কে আছে আপন॥

সুজন বন্ধু রে
তোমারে ভুলিতে পারি না
ছোটবেলার প্রেমের কথা
তোর মনে কি পড়ে না॥

প্রেম করিল প্রাণবন্ধু
করিয়া আদর
এখন কেন বন্ধু তুমি
ভাবো আমায় পর।
তুমি বিনে কে আছে মোর
কে দিবে সান্ত্বনা॥

জানতাম যতি প্রাণবন্ধু
ছেড়ে যাবে তুমি
তবে কি প্রেম করিতাম
মুই অবলা নারী।
করলে কত পেরেশানি
পাগল মনে বোঝে না॥

ফুল বাগানে ফোটে যদি
নিত্য নানা জাতি ফুল
ফুলের গন্ধে মন আনন্দে
ভ্রমর হয় আকুল।
না আসিলে ভ্রমর বুলবুল
ফুলের শোভা থাকে না॥

তোমার প্রেমে পাগল হইয়া
গাই প্রেমের গান
লাজ লজ্জা ভয় ইত্যাদি
ছেড়ে কুল মান।
পাগল সয়াল গায় গুণগান
করিয়া আরাধনা॥

বন্ধুহারা জিতে মরা
লোকে কয় কলঙ্কিনী সজনী।
আমার বন্ধুর গান
আমারে গাইতে দিবায়নি॥

তোরা জানলে বল বন্ধুয়া কই
যার প্রেমে পাগলিনি সই
সে জানে আর আমি কেবল জানি।
বুকে জ্বলছে চিতা ও ললিতা
বাহির হয় না প্রাণী লো সজনী॥

প্রেম রোগে ধইরাছে সই
ওঝা বাইদা পাব কই
ঔষধ নাই বলেছেন জ্ঞানী গুণী।
ঝারলে বিষে উজান ধরে
শান্তি নাই দিন রজনী॥

কালার প্রেমে এমনি ধারা
আপ্তজ্ঞাতি হইল বৈরী
করল বাড়ি ছাড়া।
ও তার নামের মালা গলে পড়া
তাই রাধা কলঙ্কিনী॥

মন বাঁধা প্রেমের শিকলে
দিবানিশি ছটফট করে
কর্ণে সদায় আসে বাঁশির ধ্বনি।
পাগল সয়াল কয় আমি একা নয়
সেও পাগলিনী গো সজনী॥

১০

এত নিঠুর কেমনে হইয়া রে বন্ধু
রইয়াছ ভুলিয়া।
অভাগিনী চেয়ে থাকি
পন্থ নিরখিয়া বন্ধু রে॥

তুমি আমি ছিলাম যেদিন রে বন্ধু
সেদিন কেউ ছিল না।
ভুলিবে না বলেছিলে
মনে কি পড়ে না বন্ধু রে॥

আগে যদি জানতাম আমিরে বন্ধু
করিবে ছলনা।
প্রেম না করে থাকতাম ভাল
সইতাম না যাতনা বন্ধু রে॥

শুইলে স্বপনে দেখি রে বন্ধু
পাই না রে জাগিয়া।
সয়াল শাহ কয় ঘরে ঘরে
দেখি তালাশিয়া বন্ধু রে॥

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *