জীবনমুখী বাংলা গানের ইতিহাস সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে এসেছে। মানুষ যত বেশি জীবনকে জেনেছে, যত বেশি অধিকার সচেতন হয়েছে তত বেশি জীবনকে নিয়ে গান রচনা করেছে। জীবনের ভালো-মন্দ, জীবনবোধ, বঞ্চনা, দ্রোহ, সংগ্রাম, ক্রোধ, প্রেম-বিরহ, অসাম্য, দরিদ্রতা, পরিবেশ, প্রতিবেশ প্রভৃতিকে উপজীব্য করে মানুষ গীত রচনা করেছে। গেয়েছে। গানে গানে, সুরে সুরে সে তার জীবনকে উপভোগ ও যাপন করতে চেয়েছে, যাপন করে চলেছে। সে অর্থে সংগীত বিশেষ করে জীবনমুখী সংগীত মানুষের, সমাজের জীবনভর সাধনার অনুষঙ্গ। মানুষ তার জীবনের বহুবিচিত্র অনুষঙ্গকে একে একে করায়ত্ব করেছে এবং একই সাথে জীবনকে সময় উপযোগীও করেছে। দিনে দিনে সেই সকল অনুষঙ্গে নতুন ধ্যান-ধারণা যুক্ত করে বর্ণিল ও লাগসই করেছে। এভাবে সংগীতকেও জীবন অভিজ্ঞতা দিয়ে বৈচিত্রময় ও প্রাসঙ্গিক করার প্রয়াস পেয়েছে।
ঠিক জীবনের নিরেট সংলাপ, জীবনের দৈনন্দিন যাপিত অনুষঙ্গ ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে যে গান সে গান দিনে দিনে নতুন মাত্রা পেয়েছে, হয়ে উঠেছে আরও জীবনঘনিষ্ঠ। সংগীতের ইতিহাসে দেখা যায় মানুষ তার চারপাশকে নিয়েই মূলত গান করতে চেয়েছে। জীবনের নানা রং, রূপ, গন্ধকে আস্বাদন করতে মানুষ উপমা, রূপক ব্যবহার করে তার জীবনকেই বর্ণিল, বৈচিত্র্যপূর্ণ করতে চেয়েছে। ফলে, কোনো গানই সেই অর্থে জীবন নিরপেক্ষ নয়। গানে মানুষের জীবনই মুখ্য। কিন্তু কিছু কিছু গান মানুষ রচনা করেছে শুধু হয়তো প্রকৃতির বন্দনা করে, ফুলের, পাখির রূপে মুগ্ধ হয়ে। বাতাসের গন্ধ, নীল নীলিমা, আকাশ-পাতাল, পানি, মাটি, পাহাড়, বন, নদী, সাগর তারও রূপ মানুষ ধরতে চেয়েছে গানের মধ্য দিয়েও। তাই গান, মানুষের জীবন ও প্রকৃতি দেখার আরেক বিশিষ্ট চোখ। এ চোখ মানুষের শিল্পস্বত্ত্বা থেকে তার জীবন ঘষেই দিনে দিনে দ্যুতি ছড়িয়েছে। মানুষের সংগীত তাই তার জীবন ও সমাজবিকাশের এক অনন্য আর্কাইভ এবং ক্রমবিবর্তনের ধারাবিবরণী। এই সংগীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে অনায়াসেই পাওয়া যায় অতীত মানুষের জীবন সংগ্রাম, সমন্বয় এবং প্রগতি। জীবনমুখী গান তাই শুধু সংগীতরূপ ও রস আস্বাদনের বিষয় হিসেবে থাকেনি, হয়ে ওঠেছে জীবন ও সমাজ দেখার অনন্য আয়না।
কিন্তু ঠিক কোন গানকে জীবনমুখী বলা হচ্ছে তাহলে? এর কি কোনো প্রমীত সংজ্ঞা আছে? না, মোটাদাগে বলা যায় নেই। কিন্তু প্রচলিত অর্থে জীবনমুখী গান তাকেই বলা হচ্ছে যে গানে সংগীতকার জীবন প্রকাশে অকপট, জীবনের চাওয়া, ন্যায্য পাওনা, অধিকারবোধ যেখানে মূর্ত হয়ে ওঠে। তার চাওয়া, পাওয়া, না-পাওয়া, না-পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ, না-পাওয়ার কারণকে অনুসন্ধান, জীবন প্রগতি রুখে দেয়া অপশক্তিকে যখন সরাসরি প্রশ্ন করা হচ্ছে, চিহ্নিত করা হচ্ছে তখনই তা জীবনমুখী গান হয়ে উঠছে। আর এ সকল প্রয়োজনীয় কথায় যখন সুর বসিয়ে মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে, হৃয়দাগ্রাহী করে উপস্থাপন করা হচ্ছে তখন তা মানুষ তার জীবনের একান্ত করেই দেখছে, শুনছে। সেই কথা আর সুর তখন হয়ে যাচ্ছে তাদের সবার যাদের সাথে ঐ সংগীতের যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। সে অর্থে, বলা যায়, কোনো গান জীবনমুখী তখনই হবে যখন তা আরও অনেক মানুষের জীবনে একান্ত হয়ে উঠবে। মানুষের জীবনের সাথে গানের কথা আর সুর না মিললে তা জীবনমুখী হয় না।
তো, এই গান কে লিখছে? কারা লিখছে? কেন লিখছে? এপার-ওপার বাংলা মিলে জীবনমুখী গান লিখার ও গাওয়ার করিগর খুব একটা বেশি নেই। আসেনি। সংগীতের যে মূলধারা, তার যে বিকাশ ও বিস্তৃতি জীবনমুখী গান সেই অর্থে এগোয়নি। সংখ্যায় এবং পরিসরে আনুপাতিক হয়নি। মানুষের জীবনকে খুব কাছে থেকে দেখা এবং জীবন সংগ্রামের ঘাত-প্রতিঘাত বোঝার মতো ধীশক্তিসম্পন্ন সংগীতকার, সুরকার বাংলা গানে এসেছে কিন্তু তা সংখ্যায় ও গুণে-মানে খুব বেশি নয়। এর কারণই বা কী? খুব গভীরে গিয়ে না ভেবেও বলা যায়-এ অঞ্চলে বিকাশমান রাজনৈতিক ধারায় পুঁজিবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ, জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির বাড়-বাড়ন্ত, তীব্র দারিদ্রতা এবং শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া মানুষের রাজনৈতিক দর্শন ও নেতৃত্ব বেছে নেয়ার অসচেতনতাই এখানে মুখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ফলে, যে বিষয়ব্যাপ্তিতে মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে তা দেখার সামাজিক চোখ তৈরি হচ্ছে না। অধিকাংশ মানুষই সে কারণে জীবনের চাওয়া-পাওয়াকে পুঁজিবাদী-ভোগবাদী সূচকে নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন করছে। যারা এমন একটি রাজনৈতিক-সামাজিক বাস্তবতায় জীবনকে অধিকারের জায়গা থেকে বুঝতে ও বোঝাতে সংগীতের মতো সংবেদনশীল বিষয়কে বেছে নিতে পারেন তেমন মানুষের সংখ্যা সে কারণে খুব বেশি পাওয়া যায়নি।
সংগীতের সাম্প্রতিক ইতিহাস যদি দেখা যায় তাহলে হেমাঙ্গ বিশ্বাস, ভূপেন হাজারিকা, কালিকাপ্রসাদ, প্রতূল বন্দোপাধ্যায়, ফকির আলমগীর, আযম খান এমন হাতেগোনা কয়েকজনকেই পাওয়া যাচ্ছে। যদিও প্রচলিত জীবনমুখী গানের সংজ্ঞা অনুযায়ী তাঁরা সবাই অনেকটা গণসংগীত ঘরানার। কারণ, তাদের গান কোনো বিশেষ শ্রেণি, সংগীতানুরাগীর হয়ে থাকেনি, তাঁদের গান হয়ে উঠেছে সবার, গণমানুষের। তাঁদের সমসাময়িক যেমন তেমনি পারবর্তীতেও এ ধারার গানে সংগীত ব্যক্তিত্ব একরকম অনুপস্থিতিই বলা যায়। নাম ধরে বলা যাবে এমন কাউকেই তো পাওয়া যাচ্ছে না, বিশেষ করে বাংলাদেশে। যারা এ সময়ে জীবনমুখী গান গাইছেন তাঁরা কিন্তু পুরোনো গানগুলিই গাইছেন। তাও কথা থাকে যে সে প্রচেষ্টার কতোটুকু জীবনমুখী গানকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা আর কতটা নিজেই জনপ্রিয় হওয়া সেই বিষয়টি। ফলে, একটা বিরাট সময় ধরে এ ধারার গানে খরা চলছে। জীবনমুখী গানের প্রয়োজনীয়তা ও আয়োজনের নদী একরকম মৃতপ্রায়।
এমন একটি দাহকালে যখন জীবনমুখী গানের ধারাকে একরকম অবহেলায় পতিত হয়েছিল ঠিক তখনই নতুন এক দরাজকণ্ঠ গেয়ে উঠলো- ‘ও গানওলা আরেকটা গান গাও, আমার আর কোথাও যাবার নেই, কিচ্ছু করার নেই’! প্রচলিত জীবনমুখী গানের ধারণা-এখানে একেবারে গত তিন দশক আগে এক নতুন ধারা নিয়ে এলেন সুমন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পরে পরেই নচিকেতা চক্রবর্তী এবং অঞ্জন দত্ত। তারা সবাই ভৌগলিকভাবে ওপার বাংলার। কিন্তু তাঁদের গান, গানের কথা ও সুর সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জীবনে বিশেষ যোগ এনে দিয়েছে। তাঁরা যে ভাষায়, যে ঢঙে এবং সুরে জীবনকে বাঁধতে চেয়েছেন, জীবন সম্পর্কে বলতে চেয়েছে এবং যে বড় ক্যানভাসে জীবনকে উপস্থাপন করতে চেয়েছে তা এ অঞ্চলের স্ব-ভাষী মানুষের জীবনকেও খুব স্বাভাবিক কারণে ছুঁয়ে গেছে। ফলে, খুব অল্প দিনেই তাঁদের গানই শুধু নয়, বরং তাঁদের গান বলার ধারাটি ওপার বাংলা এপার বাংলায় সার্বিকভাবে সাদরে গৃহীত হয়েছে। এতোদিনের গানের খরা, জীবনকে নিয়ে গানের প্রতি উন্নাষিকতা থেকে মানুষ যেন বেড়িয়ে আসতে মরিয়া হয়েছিল। সুমন-নচিকেতা-অঞ্জনের আগমনে সে হতাশা অনেকটাই কেটে যায়। মানুষ তাঁদের সংগীত পরিবেশনার ভিন্নতায় সাগ্রহে অবগাহন করতে থাকে।
সুমন-নচিকেতা-অঞ্জন ত্রয়ী প্রচলিত সংগীত ঘরানায় একেবারেই বড় বাঁক হয়ে এলেন। যে ধারায় এতকাল সংগীত হতো, শুদ্ধ সংগীত চর্চা ও অনুশীলনে যেভাবে মানুষের জীবনকে, জীবনবোধকে উপস্থাপন করা হতো-তাঁরা সেখান থেকে একেবারে বেরিয়ে গেলেন বলা যায়। তাঁদের সংগীতে জায়গা করে নিল জীবনের আটপৌঢ়ে সবকিছু, জীবনের ফেলে রাখা, অপ্রচলিত এবং অবজ্ঞেয় সবকিছু। তৈরি হলো জীবনকে দেখার, বলার নতুন সংগীত শব্দসম্ভার। তাঁরা এককাপ চা, লাটিম, ঘুড়ি, ছেঁড়া তোষক-কাঁথা, বালিশ, আচারের বাটি, ছোটদের অবলা ভোকাবুলারি সব কিছুকেই গানের শব্দ হিসেবে উন্নীত করলেন।
এই ত্রয়ী জীবন প্রকাশে অকপট। তাঁরা প্রেম-বিরহ-বিচ্ছেদ, বেদনা, সমাজনীতি, রাজনীতি, প্রকৃতি, প্রকৃতি বিধ্বংসী অপচেষ্টা সবকিছু নিয়েই অকপট। তাঁরা দ্বিধাহীন। প্রেমের চেনা খালে তাঁরা রোমান্সের নৌকো যেমন নিয়েছেন তেমনি অপ্রচলিত কিন্তু সত্য পরকীয়া, বহুগামিতা, অসম প্রেম, প্রেমে জাতিভেদরেখাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। মানুষের পরকীয়ায় জড়ানো, পরকীয়ায় জড়ানো মানুষটির (বা মানুষগুলির) যে গ্লানি, অনিঃশেষ অসহ্য সংকোচ সবকিছুকেই বলে গেছেন তরলের প্রবাহের মতো। এখানে তাঁদের কোনো জড়তা কাজ করে না। তাঁরা সমাজের অসঙ্গতি, সমাজনীতি-রাজনীতিতে যে গতানুগতিকতা, নেতৃত্বের যে অচলায়তন, মানুষকে শোষণ করার হাতিয়ার হিসেবে সমাজ ও রাজনীতির যে যথেচ্ছ ব্যবহার সে নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন একেবারে চাঁচাছোলাভাবেই। কীভাবে রাজা প্রজাদের শোষণ করে, কীভাবে তথাকথিত উন্নয়নের নামে কংক্রিটের অসভ্য সভ্যতা এগিয়ে যায়, কীভাবে প্রোমোটার ঘর-দোর-দোকানপাট, পুকুর জলাশয় ভরাট করে চলে তা তাঁরা বলেছেন স্পষ্ট ভাষায়। তাঁরা তাঁদের চিহ্নিত করেছেন চোখে আঙুল দিয়ে। তথাকথিত পুঁজিবাদী সমাজ কীভাবে সবকিছুকে পণ্য করছে, কীভাবে শিশুদের শৈশব চুরি হয়ে যাচ্ছে, কীভাবে সব কিছু পুঁজির দখলে চলে যাচ্ছে তা তাঁদের গানেই মানুষ নতুন করে নতুন ভাষায় স্পষ্ট করে যেন শুনতে পেল।
ধর্ম, সম্প্রদায়-জাতিভেদ, রাজনীতীতে ধর্মের অপব্যবহার কীভাবে মানুষে মানুষে বিচ্ছেদ ঘটায়। শুধু রাজনৈতিক ভূগোলের নামে হাজার বছরের প্রতিবেশী আলাদা রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে যায়, কীভাবে রাষ্ট্র ও ধর্মের অপপ্রচারে লাখো লাখো মানুষ চিরতরে উদ্বাস্তু হয়ে যায় সেটা তো তাঁরা দেখাল গান দিয়েই। ধর্ম ও রাজনীতি যে তাঁর প্রমীত সংজ্ঞা অনুযায়ী চলেনি, তার অপপ্রযোগ যে দুষ্টু মানুষের স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হয়েছে সেটা গানে গানে যে শোনানো, বোঝানো যায়-এই ত্রয়ী সেটাও করে দেখালেন। দেখিয়ে যাচ্ছেন।
তাই, সুমন-নচিকেতা-অঞ্জনকে সাধারণ সংগীত শিল্পী হিসেবে দেখলে তাঁদের পুরোটা দেখা হয় না। বলা যায়, এতে তাঁদের প্রচেষ্টার খুব ক্ষুদ্র অংশই চোখে পড়ে। তাঁরা জীবনকে বোঝার, সমাজ-রাজনীতি-ধর্মনীতি বোঝার একেকটা দিব্য চোখ। তাঁরা প্রত্যেকেই বহুবিচিত্র্য চোখের সার্চ লাইট জ্বালিয়ে জীবনকে দেখছেন। সমাজ-রাজনীতি ও ধর্মের অপশক্তিকৃত যত অন্ধকার সেখানে আলো ফেলছেন। যাতে মানুষ আরও ব্যাপক ও স্পষ্ট অর্থে জীবনকে দেখতে পায়। সে অর্থে, এই ত্রয়ী সমাজ সচেতনতার এক বিরাট শক্তি। এখানে সংগীত তাঁদের হাতিয়ার। তাঁরা কন্ঠযোদ্ধা।
মানুষ তাঁদের গান শুনছে, পছন্দ করছে এবং বারবার শুনছে। কিন্তু তাঁদের গানের অর্থ, সার্বিক সংগীত প্রয়াস আরও ব্যাপক অর্থে অর্থাৎ সমাজ-রাজনীতি সচেতনতা তৈরি করার যে বার্তাটি তা আরও শ্রোতা এবং ভাবী শ্রোতাদের নিকট পৌঁছানোও এখন সময়ের দাবি।

মো. মোজাহিদুল ইসলাম নয়ন একজন অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন কর্মী, সমাজসেবক ও লেখক। আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি সমাজের প্রান্তিক জনগণের অধিকার, ন্যায়বিচার ও সাম্যের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার লেখনী ও কর্মজীবন সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণসচেতনতা তৈরিতে নিবেদিত।
তিনি সাম্যবাদী রাজনৈতিক দর্শনে প্রভাবিত হয়ে নিপীড়িত জনগণের পক্ষে সোচ্চার থেকেছেন এবং সামাজিক পরিবর্তনে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে লেখনি চালিয়ে যাচ্ছেন। অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও গণমূখীনীতি সংস্কারের পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও জনসক্ষমতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকাশিত গ্রন্থ, প্রবন্ধ- স্মৃতিকাহন: সংগ্রামের এক দশক (২০২২), সুমন-নচিকেতা-অঞ্জন: বাংলা গানের জীবনমুখী কারিগর (২০২৩), অপাঙ্ক্তেয় কথন ২০২৫)।