ইচ্ছেনদী

নিশ্চুপ ধর্ষকেরা

আমাদের কাপুরুষতা খেলা করে, গ্রে ম্যাটারের ভেতর

এইমাত্র উড়ে গেল, যে লোভী চিল
সেও একদিন কষেছিল, দুঃসাহসিক ছক
শহরে ক্লান্ত টহলদারি পুলিশেরা খোঁজে—ভুল গন্তব্য

অথচ নিশ্চুপ ধর্ষকেরা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা সাজিয়ে
চলে গেল—শীত ঘুমে
এখানেই কারাবাসে গড়ে তোলে, সংশোধনের শহর

দুর্নাম বৃত্তান্ত

বুকের মধ্যে পুষেছি, গিরিখাত—
তাতে প্রতিদিন জ্বলে ওঠে,অদৃশ্য আগুন

বলা হয়নি, আমাদের আঁকা শেষ দৃশ্যের কথা….
কী ভাবে একটা মাকড়সা সৃষ্টি করে ঊর্ণনাভ অন্ধকার
তারপর অলীক ডুবে মেপে নেয়, অপরিণামী জীবন

আমাদের তিক্ত সম্পর্কের কনিষ্ঠ মুনিয়া পাখিটা
উড়তে উড়তে পেঙ্গুইনের দেশ
যেখানে প্রতিদিন বরফ ভেঙে কিছু দুর্বোধ্য কবিতা
বেড়ে উঠছে তুষার লিঙ্গের মতো

এসো এইবার তোমাকে আরো একবার লিখে দিই
প্রকৃত দুর্নাম

নিছক সান্দ্র প্রেমের গল্প

অভাবনীয় বলে তো কিছু ছিল না—

প্রমত্ত জ্যোৎস্নায় উড্ডীন সার্ডিনের মতো
সেজেছি মাতাল চন্দ্রভূক
লিখি লিখি করে আজও আঁকা হল না—
পোশাকি চাঁদ সদাগর নির্মাণ

কেবল প্রক্ষিপ্ত বাণে খুঁজেছি, হরিণীর মন…
উপবন তোলপাড় করে মেখেছি, অরণ্যচারি অন্ধকার

গল্পটা নিছক শিকারির নয়
তার মধ্যে মিশে গেছে, আমার ঐহিক সান্দ্র প্রেম…

বাল্মীকিনামা

দস্যুতা ভুলে গেলেই, বাল্মীকি হওয়া যায় না

পরিযায়ী সারস নগ্ন বাসায় প্রাক্তনী এঁকে
উড়ে যায়—নিজস্ব বৃন্দাবনের দিকে

পথ সামলে এতকাল এঁকেছি—
অশুভ গর্জনের দিকে
ততক্ষণে উইঢিবি গলে শুরু হয়েছে, বাল্মীকির উচ্চারণ

ইচ্ছেনদী

কোমল নদীটির পাশে দাঁড়ালেই, গলতে থাকে
মনোরম স্রোত…

বেদনায় কুঁকড়ে যাওয়া কোন মাঝি
চাঁদ সদাগরের মত ভাসাতে থাকে, অলীক মান্দাস
মধ্যযুগের কোলাহল ভেঙে বয়ে যেতে থাকে
পুণ্যতোয়া তটিনী

এইবার দ্যাখো, অপরূপ সংগমে সেজে উঠেছে
আমাদের নিষিদ্ধ কোন নদী…

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *