হলুদবৃত্তান্ত
বৃক্ষকাণ্ডের বিস্তার
শাখায় শাখায় মৃত্তিকার রস
পাতায় পাতায় ঐকতান
নদীরাও বৃক্ষশাখা হয়
জলের প্রবাহ নদীতে-শাখানদীতে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ‘জলের গান’
কেবল মানুষের বোধিবৃক্ষের পাতায় হলুদ ছত্রাক
ঝরে পড়ে অপরিপক্ক ফল।
উড়াল ০৪
পিঁপড়ের উড়াল
মোমের ডানায় সূর্যচুম্বন
আলোকপ্রভায় পতঙ্গনাচ
মেঘের রাজ্যে ঘুড়ির আনা গোনা
কেবল পাখিরা জানে উড়ালের সীমা
চৈতন্যে শিষ ০২
জলের কম্পন
চৈতন্যের দেয়ালে আলোর প্রপাত
আঙিনায় ফোটে রক্ত কুসুম
প্রত্নছায়ায় মাগধী প্রাকৃত
লোহিতজলের উর্বরতায় বেড়ে ওঠে ‘সোনালী গাছ’
উড়ে আসে পিঞ্জরভাঙা পাখির দল
কলস্বর হয় রৌদ্রের গান।
হাঙর ও নীল ঘোড়া
নীল ঘোড়া ছুটে আসে
হঠাৎ ঘোড়াটি ঢুকে যায়
অস্তগামী সূর্যের ভেতর
একটি হাঙর লাফ দেয়
মূহুর্তেই অদৃশ্য হয় নোনা জলে
মগজের ভেতর ঘোড়াটি দাবড়ে বেড়ায়
হাঙরের দাঁতের শব্দ ভাসে নুন হাওয়ায়
খোয়াব
অলস ঘড়ির কাঁটা
পথ অন্তহীন
পা চলে না কিছুতেই
‘গা ছমছম ‘-ঝরছে লবণজল
সেও দেখেছে রুপালী ঘোড়া-সূর্য রথ-
উর্বশীর গোপন সুন্দর
তার মগজে ভুতবাড়ি
চারদিকে জন্মাচ্ছে ‘করবীগাছ’।

পারভেজ আহসান। লেখালেখি নব্বইয় দশক থেকে শুরু। তাঁর কবিতায় আছে অভিনব রূপক, প্রতীকী ধর্মী চিত্রকল্প ও দার্শনিকতা। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : পৃষ্ঠার ধূলি হীরকদানা,পারদদেয়াল, বিবিধগল্প।