মাতালগুচ্ছ

০১

বিষণ্ণ ধারায় পৃথিবী কাঁদছে! দ্যাখো, আমার প্রেমিকাদের মৃত আত্মারা উড়ছে
বাতাসে—
তাদের চোখে উজ্জ্বল শোক,
কাজল পুড়ে যাচ্ছে আহা বিরহে!
আত্মারা পুড়ে, মরে যাচ্ছে আমার
চোখ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে নিঃশ্বাস।
শরীরের সমস্ত লোম ভয়ে কাঁপছে,
আমার কণ্ঠের ভিতরে আঠালো আতঙ্ক
কফের মতো জমে জমে যাচ্ছে।
দ্যাখো বুকের ভিতরে বিষাক্ত সাপ ফোঁস ফোঁস করছে
কামরাচ্ছে মনকে!
বিষাক্ত যন্ত্রণায়, বুকের ভিতরে মন গড়াগড়ি করছে!
দ্যাখো ফণা তুলে তাকিয়ে আছে শিকারি চোখেরা
তাদের দৃষ্টি থেকে বেড়িয়ে আসছে দুর্বোধ্য বিষ।

০২

বিষণ্ণ ঈশ্বরের ঠোঁটে আমরা
চিরকাল জ্বলছি ক্ষীয়মাণ সিগারেট হয়ে।
কবর আর শ্মশানগুলি মূলত সিগারেটের অ্যাস্ট্রে
এর বেশি কিছু নয়।

০৩

রুটি উড়ে যাচ্ছে মানুষটির দিকে
মানুষটি দৌড়ে আসছে রুটির দিকে।
বিমর্ষ দুটি চোখ
রুটির এবং মানুষটির!
মানুষটির মুখে লেগে আছে রুটির ক্ষধা
রুটির মুখেও লেগে আছে মানুষটির ক্ষুধা।

সমান ক্ষধার্ত তারা
তাই, অনেকটা স্থল
অনেক জল
আর অনেকটা রক্ত পেরিয়ে পেরিয়ে
একদিন—
পরস্পর দেখা হয়ে গেল।
মানুষটি ক্ষুধার্ত ছিল
তাই রুটিকে চিবিয়ে খেলো
রুটিও ক্ষুধার্ত,
তাই কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ
ঢুকে গেলো ভিতরে।
অবশেষে মানুষটি শান্ত হল
রুটি, মানুষটিকে পেলো।

০৪

গুলি করে মারা যেত, তবু তাকে মারলাম চুমু দিয়ে।
কেননা মূহুর্তে এক একটি গুলি এক একটি নক্ষত্রের চেয়ে দামী।
তাই অনেস্টলি চুমুগুলো গুলি বানিয়ে বন্দুকে ভরে নিলাম।
যেহেতু বিগ্রহের তৃতীয় দৃশ্য আমি চুমুতেই মুছে দিতে চাই।

০৫

জলের গভীরে মাছেরও হৃদয় পোড়ে অন্য মাছটির কারণে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *